বাংলাদেশকে নমনীয় শর্তের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঋণের প্রতিশ্রুতি ও অর্থ ছাড় করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। দেশটির সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে (এপ্রিল-মার্চ) এ রেকর্ড হয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার সংস্থাটি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিদায়ী এ অর্থবছরে সংস্থাটি বাংলাদেশের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে মোট ৩৩১ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন বা ২৫৮ বিলিয়ন টাকা (প্রতি ইয়েন দশমিক ৭৮ টাকা ধরে) অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যার মধ্যে ২৬১ বিলিয়ন বা ২৬ হাজার ১০০ কোটি জাপানি ইয়েন ছাড়ও করেছে জাইকা। আনুষ্ঠানিক উন্নয়ন সহযোগিতা (ওডিএ) অংশ হিসেবে এই ঋণ সহযোগিতা দিয়েছে জাইকা। জাইকা জানিয়েছে, এর আগে গত অর্থবছরে সংস্থাটি বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ ২৬৪ বিলিয়ন বা ২৬ হাজার ৪০০ কোটি জাপানি ইয়েন ছাড় করেছিল। ২০২১ সালেই জাইকা বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঋণসহায়তা দিয়েছিল।
বাংলাদেশে জাইকার ওডিএ ঋণ প্রতিশ্রুতির সঙ্গে জড়িত ৫টি প্রকল্প হলো ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প, দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্প, মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প ও জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনের ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প।
জাইকা জানিয়েছে, ২০২০ অর্থবছরে (এপ্রিল, ২০১৯ মার্চ, ২০২২) বাংলাদেশে ৩৭৩ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সংস্থাটি। স্থানীয় পর্যায়ে সংস্থাটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ অঙ্কের ঋণ প্রতিশ্রুতি ছিল সেটি। তবে ওই বছর করোনার কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সংস্থাটি মাত্র ১৮০ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন ঋণ ছাড় করেছিল।
গত এক দশকজুড়ে ওডিএ ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহযোগিতা স্কিমের মাধ্যমে জাইকা বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। যার ফলে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথ আরও সুগম হয়েছে।
অদূর ভবিষ্যতেও জাইকা স্থানীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে একইভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যাশা রাখে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে জাইকার ওডিএ অর্থায়ন কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭৪ সালে।