চলতি ও আগামী বছরে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির হিসাবে চলতি বছরে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম সার্বিকভাবে ৩ শতাংশ কমবে। আর ২০২৫ সালে এসব পণ্যের দাম ৪ শতাংশ পর্যন্ত কম হতে পারে। এর ফলে দেশে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ কমতে পারে। সম্প্রতি প্রকাশিত কমোডিটি আউটলুক প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ১০০ অতি প্রয়োজনীয় ও নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দাম আগামী দুই বছরে কতটা বাড়তে পারে বা কতটা কমতে পারে, সেই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
দাম কমতে পারে এমন ছয়টি উল্লেখযোগ্য পণ্য হলো ইউরিয়া সার, কয়লা, এলএনজি, চিনি, গম ও ভুট্টা। আর দাম বাড়তে পারে জ্বালানি তেল, পাম তেল, সয়াবিন তেল ও তুলার। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, ২০২৩ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের গড় দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি সাড়ে ৮২ ডলার। চলতি বছরে তা বেড়ে ৮৪ ডলার হতে পারে। তবে আগামী বছর তা কমে ৭৯ ডলার হতে পারে। আগামী দুই বছর তুল বছর তুলার দাম বাড়বে।
এ বছর প্রতি কেজি তুলার দাম উঠতে পারে ২ দশমিক ১৫ ডলারে। আগামী বছর তা আরও ৫ সেন্ট বাড়তে পারে। পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি বছরে প্রতি টন পাম তেলের দাম ২০-২১ ডলার বাড়তে পারে। প্রতি টনের তেলের গড় দাম হতে পারে ৯০৫ ডলার। অন্যদিকে সয়াবিন তেলের দামও বৃদ্ধির কথা বলছে বিশ্বব্যাংক। বর্তমানের টনপ্রতি ১ হাজার ১১৯ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ১৩০ ডলার হতে পারে সয়াবিন তেলের দাম। অবশ্য কয়লার দাম ব্যাপক কমতে পারে। ২০২৩ সালে প্রতি টন কয়লার গড় দাম ছিল প্রায় ১৭৩ ডলার। চলতি অর্থবছরে এর গড় দাম হতে পারে ১২৫ ডলার।
অন্যদিকে প্রতি বিএমএমটিইউ এলএনজির দাম ১৪ দশমিক ডলার থেকে কমে সাড়ে ১২ ডলার হতে পারে। চিনির দাম প্রতি কেজি দশমিক ৫২ ডলার থেকে কমে দশমিক ৫০ ডলার হতে পারে। একইভাবে প্রতি টন গমের দামও ৩৪০ ডলার থেকে কমে ২৯০ ডলার হতে পারে। পোলট্রি ফিডের জন্য বিপুল পরিমাণ ভুট্টা আমদানি করা হয় বাংলাদেশে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টার দামও কমতে পারে।