ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে : আহসান এইচ মনসুরসাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্সদুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের শেয়ারবাজারে দর পতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহী কাতার : শিল্পমন্ত্রী
No icon

প্রথমবারের মতো ডলারের দাম কমানো হচ্ছে

এবার ডলারের দাম কমানো হচ্ছে। বছরখানেকের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। আজ বৃহস্পতিবার থেকে প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনায় ডলারের দাম কমবে ৫০ পয়সা। পাশাপাশি আমদানিকারকের কাছে ডলার বিক্রিতেও দাম কমবে ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত এই সভা চলে মাত্র পাঁচ মিনিট।

সভায় বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম এবং এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন জানিয়েছেন, আমদানি কমেছে এবং রপ্তানি বাড়ছে। এ ছাড়া চলতি হিসাবে এখন ঘাটতি নেই। এ জন্য ডলারের দাম ৫০ পয়সা করে কমানো হবে। ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে এই সংগঠন দুটি ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণ করে আসছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে তারা সময়ে সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এ দুই সংগঠন ডলারের দর নির্ধারণের দায়িত্ব নেওয়ার পর মার্কিন এই মুদ্রার দাম আগের তুলনায় কখনো কমানো হয়নি।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কিনতে ডলারের দাম হবে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা, আগে যা ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম নেওয়া যাবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ১১১ টাকা। তবে প্রবাস আয়ে সরকারের ২.৫ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যাংকও একই পরিমাণ প্রণোদনা দিতে পারবে। ফলে প্রবাস আয় পাঠালে ডলারপ্রতি সর্বোচ্চ ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা পাবে উপকারভোগীরা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানে উন্নতির পাশাপাশি কমছে মূল্যস্ফীতি। ফলে ইতিবাচক অর্থনৈতিক ডাটায় বিশ্ববাজারে ডলারের দাম কমে কয়েক মাসে সর্বনিম্ন হয়েছে। বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলারের সূচক কমে হয় ১০৩.২, যা গত আগস্টের শেষের পর থেকে সর্বনিম্ন দাম।

বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, অর্থনীতি ইতিবাচক থাকায় আগামী বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুদহার কমতে থাকবে। ফলে ডলার এড়িয়ে তাঁরা ঝুঁকিপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করছেন। তাঁরা আশা করছেন আগামী ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের যে বৈঠক হতে চলেছে তাতে সুদহার অপরিবর্তিত রাখা হবে।