ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে : আহসান এইচ মনসুরসাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্সদুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের শেয়ারবাজারে দর পতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহী কাতার : শিল্পমন্ত্রী
No icon

বিমায় পাওয়া যাচ্ছে পেনশনের সুযোগ

বিমা পরিকল্পটির (পলিসি) নাম এখন ‘মেয়াদি সুবিধাযুক্ত পেনশন বিমা’। এত দিন এ পলিসি পরিচিত ছিল ‘বঙ্গবন্ধু সর্বজনীন পেনশন বিমা’ নামে। একমাত্র রাষ্ট্রীয় জীবনবিমা প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনের পলিসি এটি। ব্যবসায়ী ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের জন্য এটি চালু করা হয়।

পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেয়াদ শেষে যাঁরা মাসিক পেনশন পেতে আগ্রহী, তাঁদের জন্যই এ পলিসি চালু করা হয়েছিল। পলিসিটির বড় সুবিধা হচ্ছে, কেউ চাইলে মেয়াদ শেষে এককালীন শতভাগ বা ৫০ শতাংশ টাকাও তুলে নিতে পারেন। বঙ্গবন্ধু সর্বজনীন পেনশন বিমায় যেসব সুবিধা ছিল, সেগুলো নতুন নামের পলিসিতেও বহাল রেখেছে জীবন বীমা করপোরেশন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পলিসিটির নাম বদলে ফেলা হয়। 

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী দেশে ১৭ কোটি মানুষ আছেন। এর মধ্যে ২০ থেকে ৬৫ বছর বয়সী মানুষের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। বিবিএসের তথ্যই বলছে, দেশে দ্রুতগতিতে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এসব কথা উল্লেখ করে জীবন বীমা করপোরেশন বলছে, বয়স্ক মানুষের অবসরজীবন নিরুদ্বেগ, সচ্ছল ও শান্তিময় করার জন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা ‘মুজিব বর্ষ’ পালন উপলক্ষে চালু করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু পেনশন বিমা পলিসি (লাভসহ)।’

২০ থেকে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা মেয়াদি সুবিধাযুক্ত এই পেনশন বিমা পলিসি কিনতে পারেন। এর প্রিমিয়াম পরিশোধ করা যাবে দুইভাবে—বছরে দুবার (ষাণ্মাসিক পদ্ধতি) অথবা বার্ষিক পদ্ধতিতে। বিমার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৫ বছর ও সর্বোচ্চ ৬৫ বছর। অর্থাৎ পেনশন পাওয়ার শুরুর বয়স ৫৫ থেকে ৬৫ বছর। এ পলিসিতে বিমার অঙ্ক সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ বিমার অঙ্ক নির্দিষ্ট করে বলা নেই। এটা হবে গ্রাহকের সামর্থ্য অনুযায়ী।

বিমা গ্রাহকের ইচ্ছা অনুযায়ী ১০, ১৫ বা ২০ বছর মেয়াদ পর্যন্ত গ্যারান্টিযুক্ত (নিশ্চয়তাযুক্ত) পেনশন নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। পেনশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত তারিখের আগে বিমা গ্রাহক মারা গেলে পূর্ণ বিমা অঙ্ক বোনাসসহ পাবেন তাঁর নমিনি। আর পেনশন দেওয়া শুরুর পর বিমা গ্রাহক মারা গেলে নমিনি পেনশন পাবেন বাকি মেয়াদের জন্য। মেয়াদি সুবিধাযুক্ত পেনশন বিমার মরণোত্তর দাবির টাকা সম্পূর্ণ আয়করমুক্ত। এ বিমার সঙ্গে অতিরিক্ত সুবিধার বিমাও (সাপ্লিমেন্টারি বেনিফিট) নেওয়া যাবে। প্রিমিয়ামের ওপরও আয়কর রেয়াতের সুযোগ রয়েছে।