ব্যাংকের মতো ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণেও সুদহারের নতুন পদ্ধতি চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের ঋণের পাশাপাশি আমানতেও একটি সর্বোচ্চ সীমা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সঙ্গে আমানতে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ এবং ঋণে ৫ শতাংশ মার্জিন নিতে পারবে। গতকাল এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়। বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আমানতে সর্বোচ্চ ৭ এবং ঋণে ১১ শতাংশ সুদ নিতে পারে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার কার্যকর হবে আগামী ১ জুলাই থেকে। বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ মে মাসে স্মার্ট রেট প্রকাশ করেছে, যা ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। এটাকে ভিত্তি ধরলে এসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদে আমানত নিতে পারবে। আর ঋণ বিতরণ করতে পারবে সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদে। যদিও নতুন সুদহারের হিসাব শুরু হবে জুন মাসের স্মার্টের ভিত্তিতে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি চার্জ নিতে পারবে। ফলে এসব ঋণে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। যে হিসাবের ওপর ভিত্তি করে এই হার নির্ধারণ করা হয়েছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট। আমানতের ক্ষেত্রে স্মার্ট রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ এবং ঋণে পাঁচ শতাংশ যুক্ত করা যাবে।