মঙ্গলবার (৬ জুন) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বশর। তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত এয়ারলাইন্সগুলোর ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। তবে এয়ারলাইন্সগুলোর মোট পাওনা রয়েছে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার। আইএটিএ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। তিনি আরও বলেন, দেশের ৭ ব্যাংক এসব অর্থ ডিউ রেখেছিল। এসব ব্যাংকের অর্থ পরিশোধের সামর্থ্য রয়েছে। তাই তাদের দ্রুত অর্থ পরিশোধ করতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, গত রোববার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) জানায়, বিমান সংস্থাগুলোর পাওনার অধিকাংশই আটকে আছে বিশ্বের মাত্র পাঁচটি দেশে। নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, পাকিস্তান ও লেবানন। সবচেয়ে বেশি পাওনা রয়েছে নাইজেরিয়ার কাছে, দেশটির কাছে বিমান সংস্থাগুলোর পাওনা ৮১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থার পাওনা রয়েছে ২১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাকি তিনটি দেশ হলো আলজেরিয়া, পাকিস্তান ও লেবানন। এই পাঁচটি দেশের কাছে আটকে আছে মোট পাওনার ৬৮ শতাংশ। আইএটিএ জানায়, ২০২২-এর এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।
আইএটিএ বলছে, বিশ্বের সরকারগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ পাওনা থাকায় নিরবচ্ছিন্ন উড়োজাহাজ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি হচ্ছে। বকেয়া না পেলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানান, সংস্থাটির মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ। একই সঙ্গে সেবা নেওয়া দেশকে আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং চুক্তির বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান আইএটিএ মহাপরিচালক।