
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব বিভাগের সচিব এবং অর্থ বিভাগের বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পর্কিত অতিরিক্ত সচিবেরা উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের কিছু বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর করা চলতি অর্থবছরের বাজেটে সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেট পাসের ১ মাস ৫ দিন পর গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগ আমলে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখানোর একটা প্রবণতা ছিল বলে অর্থনীতিবিদেরা বিভিন্ন সময় বলে আসছেন।
এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের কাছে বেশ কয়েকবারই মন্তব্য করেছেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হিসাব দেওয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে নেমেছে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে চলতি অর্থবছরের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ওই বৈঠকে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল ৭ শতাংশ।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অনুষ্ঠিত এদিনের বৈঠকে চলতি অর্থবছরের জন্য মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হারের লক্ষ্যমাত্রাও ঠিক করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হলেও তা ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি কমানো হচ্ছে।