বাংলাদেশ থেকে নেওয়া ঋণের দ্বিতীয় কিস্তিতে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ফেরত দিয়েছে ৫০ মিলিয়ন ডলার। এতে মোট ঋণের ১৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৭৫ শতাংশই ফেরত দিল দ্বীপরাষ্ট্রটি। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক অর্থ ফেরত দেওয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দুই বছর আগে বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে কারেন্সি সোয়াপ চুক্তির মাধ্যমে ২০০ মিলিয়ন বা ২০ কোটি ডলার ঋণ নেয় শ্রীলঙ্কা। এর আগে গত ২১ আগস্ট ৫০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে। এতে দুই কিস্তিতে ১৫ কোটি ডলার ফেরত দিল বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে থাকা দেশটি। এখন বাকি ৫০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ডলারও যথাসময়ে ফেরত পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে ২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশে রিজার্ভ এই ঋণ দিয়েছিল।
জানা গাছে, ঋণ নেওয়ার সময় ৯ মাসে তিন কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু শ্রীলঙ্কা রিজার্ভ সংকটে পড়লে তিনবার সময় বাড়িয়ে ২৭ মাস করে। বর্ধিত এই সময় শেষ চলতি মাসে শেষ হয়ে যাবে। ঋণ চুক্তির শর্তমতে, ঋণের বিপরীতে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে এক দশমিক ৫ শতাংশ সুদ দিবে। একই সঙ্গে লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট (লিবোর) ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হার দিচ্ছে।
বিলাসী সব প্রকল্প নেওয়া, ভুল নীতি, দুর্নীতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে পর্যটন ও রেমিট্যান্সের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলারের পাওয়ায় রিজার্ভ বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে দুই দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে দেশটি, যা এখন যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশটির মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের চেয়েও কমে এসেছে।