ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে : আহসান এইচ মনসুরসাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্সদুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের শেয়ারবাজারে দর পতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহী কাতার : শিল্পমন্ত্রী
No icon

বিদ্যুতের দাম অনেকটা কমাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

বিদ্যুতের মূল্য বেশ অনেকটা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। সাধারণ ভোক্তা ও শিল্প—এই দুই ধরনের গ্রাহকের জন্যই বিদ্যুতের দাম কমানো হবে, যা কার্যকর হবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে। বহু দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমাতে দেশটির কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাধারণ ভোক্তাদের জন্য বিদ্যুতের দাম কমবে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে শিল্পের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের মূল্য কমানো হবে ৩৩ শতাংশ। দেশটির বিদ্যুৎ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। দরিদ্র ভোক্তাদের বিল থেকে ৭ ডলারের সমপরিমাণ ২ হাজার রুপি ছাড় দেওয়া হবে।

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার মোট দেশজ উৎপাদন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ কমে যায়। এরপর অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দেশটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে ২৯০ কোটি ডলার ঋণের জন্য চুক্তি করে। সেই চুক্তির শর্তের অংশ হিসেবে কলম্বো গত সেপ্টেম্বরে বিদ্যুতের দাম ৭৫ শতাংশ বাড়ায়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে আবার বিদ্যুতের দাম ৬৬ শতাংশ বাড়ানো হয়।

পাবলিক ইউটিলিটিজ কমিশন অব শ্রীলঙ্কার চেয়ারম্যান মনজুলা ফারনান্দো সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা আশা করছেন যে বিদ্যুতের দাম কমানোর ফলে অর্থনীতি চাঙা হবে এবং সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবেন।

শ্রীলঙ্কায় চলতি বছর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৫ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিদ্যুতের দাম কমানোর ফলে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হতে পারে। দুই বছর ধরে দেশটির অর্থনীতিতে কোনো প্রবৃদ্ধি নেই। তবে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশ হতে পারে।

কর বৃদ্ধি, রুপির দাম পড়ে যাওয়া ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ৭০ শতাংশে উঠে যায়। তবে গত মার্চে বিদ্যুতের দাম প্রায় ২২ শতাংশ কমানো হয়, যা মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে আনতে সহায়তা করে।

শ্রীলঙ্কা গত বছরের মার্চে আইএমএফের সঙ্গে চার বছর মেয়াদি ঋণ চুক্তি করে। এর আওতায় দেশটিকে কর বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ খাতের ভর্তুকি উঠিয়ে নেওয়া এবং সরকারি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার শর্ত দেয় আন্তর্জাতিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।