ঈদের পরে বাজারে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি দেশব্যাপী তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে খামারে মুরগি মারা গেছে। এই দুই কারণে বেড়েছে ডিমের দাম। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানের প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে মুরগিরও। বিশেষ করে সোনালি মুরগির দাম বেশ চড়ে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার ডিমের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও পাড়ামহল্লার দোকানে প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহের শেষেও এই ডিম বিক্রি হয়েছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ, এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম ২০ টাকা বেড়েছে। তবে সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে ডিমের সরবরাহ এখনো কম।
রোজার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় ডিমের চাহিদা কম থাকে। এরপর লম্বা সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলার কারণে প্রচুর মুরগি মারা যায়। খামারিরা বলছেন, ডিমের উৎপাদন খরচ বাড়লেও পাইকারি বাজারে তাঁরা ডিমের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তাঁদের মতে, এখন খামারি পর্যায়ে একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ৯ টাকার মতো, যা খুচরা বাজারে একজন ক্রেতাকে ১২ টাকার মতো দামে কিনতে হচ্ছে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছিল, তাতে একটি ডিমের খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ১০ টাকা ৪৯ পয়সা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকালের বাজারদর অনুযায়ী, প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১১ টাকা ৭৫ পয়সা। বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) গত বছরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সাধারণত প্রতিদিন চার কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে, উৎপাদনের পরিমাণ আরেকটু বেশি। এদিকে বাজারে সোনালি মুরগির দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেড়ে ৪০০ টাকায় উঠেছে।