দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয়েছে দরপতনের মধ্য দিয়ে। দিনের প্রথম এক ঘণ্টায় সূচকটি ৩০ পয়েন্টের মতো কমে গেছে। এ সময় লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির দাম কমে যাওয়ায় সূচকের এই পতন হয়েছে। ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টা শেষে লেনদেন হয়েছে ১৪০ কোটি টাকার মতো। এ সময় লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ, বস্ত্র, খাদ্য, রাসায়নিক, মিউচুয়াল ফান্ড, ভ্রমণ ও সিরামিক খাতের কোম্পানি।
প্রথম এক ঘণ্টায় সূচকের পতনের পেছনে যেসব কোম্পানির বড় ভূমিকা রয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ব্যাংক খাতের কোম্পানি ন্যাশনাল ব্যাংক, বীকন ফার্মা, ইউনিক হোটেল, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর মতো ভালো মানের প্রতিষ্ঠান। অন্যদিকে যথারীতি আজও ঢাকার শেয়ারবাজারে লেনদেনে শীর্ষে আছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানি। ওষুধ খাতের ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের দর যখন কমছে, তখন এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ারের দাম বেশ কয়েক দিন ধরে টানা বাড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরে এটি লেনদেনের শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করছে। এই কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি ও লেনদেনে কয়েক দিন ধরে শীর্ষে থাকার পেছনে কারসাজির মতো ঘটনা আছে কি না, সে সম্পর্কে বাজার–সংশ্লিষ্ট অনেকেই সন্দেহ করছেন।
এ ছাড়া আজ লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে প্রকৌশল খাতের গোল্ডেন সন ও বস্ত্র খাতের আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের মতো দুর্বল মানের কোম্পানি। এসব কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি ও লেনদেনের শীর্ষে থাকার পেছনেও কারসাজির সন্দেহ করা হচ্ছে। বাজার–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দুর্বল কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধি ও লেনদেনে শীর্ষে থাকার পেছনে কারসাজির ঘটনা থাকে। এ কারণে বাজারের প্রতি ভালো বিনিয়োগকারীদের একধরনের অনীহা তৈরি হয়। এসব কারণে বাজারে নতুন বিনিয়োগ আসছে না এবং টানা দরপতন চলছে।
গতকাল বুধবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তিনটি সূচকই নিম্নমুখী ছিল। এদের মধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১০ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৬৪ পয়েন্টে এবং ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৬২ পয়েন্টে অবস্থান করে। এ ছাড়া ডিএস ৩০ সূচক ৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসইতে গতকাল শেয়ার লেনদেন হয় প্রায় ৪৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকার।