ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে : আহসান এইচ মনসুরসাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্সদুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের শেয়ারবাজারে দর পতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহী কাতার : শিল্পমন্ত্রী
No icon

গভর্নরদের র‌্যাংকিংয়ে গভর্নর রউফ তালুকদার পেলেন ডি গ্রেড

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র‌্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসাবে ‘ডি’ গ্রেড পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সবকটি সূচকে সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে প্রতিবেশী ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ পেয়েছেন ‘এ’ প্লাস। আর এ অঞ্চলে ‘এ’ মাইনাস পেয়েছেন শ্রীলংকাকে দেউলিয়াত্ব ও ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি থেকে বের করে আনা গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে। পাকিস্তানের গভর্নর জামিল আহমেদ পেয়েছেন ‘সি’ মাইনাস, ভিয়েতনামের গভর্নর পেয়েছেন ‘এ’ প্লাস।

মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা রক্ষা করা বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর গভর্নরদের রেটিং করছে গ্লোবাল ফাইন্যান্স। ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়ন করা হয় পাঁচ শ্রেণিতে ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ এবং ‘এফ’। 

গভর্নরদের মূল্যায়নের মাপকাঠি হিসাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সুরক্ষা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। গত এক বছরে এর প্রত্যেকটি সূচকে অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। ওই সময়ে অর্থনৈতিক কাঠামোগত দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের নিয়ন্ত্রণকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় দুর্বলতা হিসাবে দেখছে ম্যাগাজিনটি। 

ম্যাগাজিনের বিগত বছরগুলোয় প্রকাশিত ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের ১ মে থেকে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন ড. আতিউর রহমান। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এ ৩ বছর গভর্নর হিসাবে আতিউর রহমানের গ্রেড ছিল ‘সি’। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো তিনি ‘বি’ মাইনাস গ্রেডে উন্নীত হন। ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পদত্যাগ করায় ওই বছর তার কার্যক্রমের মূল্যায়ন করা হয়নি।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন ফজলে কবির। ২০২২ সালের ৩ জুলাই পর্যন্ত তিনি গভর্নর পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে ফজল কবিরের গ্রেড ছিল ‘বি’। এরপর ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তাকে ‘ডি’ গ্রেড ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেওয়া হয়। তবে ২০২০ ও ২০২১ সালের জন্য ফজলে কবিরকে ‘সি’ গ্রেড দিয়েছিল সাময়িকীটি।

ফজলে কবির অবসরে গেলে তৎকালীন অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসাবে নিয়োগ পান। ২০২২ সালের ১২ জুলাই গভর্নর হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন। এ কারণে ২০২২ সালের ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ডে’ তাকে নিয়ে কোনো মূল্যায়ন আসেনি। ম্যাগাজিনটির চলতি বছরের রিপোর্ট কার্ডেই প্রথমবারের মতো তাকে নিয়ে কোনো মূল্যায়ন প্রকাশ হলো।