ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে : আহসান এইচ মনসুরসাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্সদুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের শেয়ারবাজারে দর পতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহী কাতার : শিল্পমন্ত্রী
No icon

রিটার্ন জমা দিলেই দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে

রিটার্ন জমা দিলেই আপনাকে দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। আপনার যদি করযোগ্য আয় না-ও থাকে, তবু আপনাকে এই টাকা দিতেই হবে। আবার আয়কর অধ্যাদেশে সাড়ে তিন লাখ টাকা করমুক্ত আয়ের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে ন্যূনতম করমুক্ত আয়ের সীমা কোনটি, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপিত অর্থ বিলে বলা হয়েছে, আয়কর অধ্যাদেশের ৭৫ ধারা অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা আছে এমন করদাতার মোট আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম না করলেও আয়ের পরিমাণ নির্বিশেষে ন্যূনতম করের পরিমাণ দুই হাজার টাকা হবে।

এর মানে, ৭৫ ধারা অনুযায়ী, যেসব করদাতা রিটার্ন দাখিল করবেন, তাঁদের সবাইকে কর দিতেই হবে। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি ৩৮ ধরনের সেবা নিতে হলে রিটার্ন জমার রসিদ লাগে। এখন তাঁদের আয় না থাকলেও দুই হাজার টাকা কর দিয়ে রিটার্ন জমার রসিদ নিতে হবে।

যেসব কাজে রিটার্ন জমার রসিদ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০ লাখ টাকার বেশি ঋণ আবেদন করলে; ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনলে; গাড়ির মালিক হলে, ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার ক্ষেত্রে; সরকার থেকে ১৬ হাজার টাকার বেশি বেতন পেলে; কোনো কোম্পানির পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডার হলে; ব্যবসায় সমিতির সদস্য হলে; কারও সন্তান বা পোষ্য ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করলে; অস্ত্রের লাইসেন্স নেওয়ার ক্ষেত্রে; উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হলে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য (আয়কর নীতি) আমিনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এই প্রস্তাব করার ফলে কোনটি করমুক্ত আয়ের সীমা, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একদিকে বলা হচ্ছে বার্ষিক আয় সাড়ে তিন লাখ পর্যন্ত করমুক্ত; অন্যদিকে বলা হচ্ছে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা যাঁদের আছে, তাঁদের দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। এটা পারস্পরিক সাংঘর্ষিক।

তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তৃতায় এই বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের একজন নাগরিকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার বিপরীতে সরকারকে ন্যূনতম কর প্রদান করে সরকারের জনসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ। এ ধরনের অংশীদারিমূলক অংশগ্রহণ দেশের সক্ষম জনসাধারণের মাঝে সঞ্চারণের লক্ষ্যে করমুক্ত সীমার নিচে আয় রয়েছে, অথচ সরকার হতে সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্নের বাধ্যবাধকতা আছে, এমন করদাতাদের ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করছি।