সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল, তার ৮৯ শতাংশ অর্জন করতে পেরেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই অর্থবছরে এনবিআরের শুল্ক–কর আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। বছর শেষে দেখা গেছে, ৩ লাখ ৩১ হাজার ৫০২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ছিল প্রায় সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। এর আগে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তৈরি করা সাময়িক হিসাবে দেখা গিয়েছিল, এনবিআরের শুল্ক–কর আদায়ের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ২৫ হাজার ২২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৮ জুলাই পর্যন্ত আগের মাসের ভ্যাট রিটার্ন জমা পড়েছিল। সর্বশেষ হিসাবে ভ্যাট বিভাগের আদায় আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা যোগ হয়েছে। চূড়ান্ত হিসাবে শুল্ক ও আয়কর খাতে বাড়তি রাজস্ব যোগ হয়েছে।
সাময়িক হিসাবে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি ছিল এক অঙ্কের ঘরে। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের কিছুটা বেশি ছিল। চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হয়েছে। ফলে এক অঙ্কের ঘরের প্রবৃদ্ধির সমালোচনা সামাল দিল এনবিআর। এর আগে কোভিড মহামারি শুরুর প্রথম বছরেও লকডাউনের কারণে তিন মাসের মতো সবকিছু বন্ধ থাকায় রাজস্ব আদায় তার আগের অর্থবছরের চেয়ে কমে গিয়েছিল। ছরটি সব ক্ষেত্রেই বিশেষ বছর হিসেবে বিবেচিত হয়।
গত এক দশকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বেড়েছে চার গুণ। কিন্তু সেই তুলনায় শুল্ক–কর আদায় আগের তুলনায় দ্বিগুণও বাড়েনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে অর্থনীতি বড় হওয়ার পুরো সুফল ঘরে তুলতে পারেনি এনবিআর। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছিল এনবিআর। ১০ বছর পর তা বেড়ে সোয়া ৩ লাখ কোটি টাকার মতো হয়েছে।