
বৈঠকের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে টকটাইম ও ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। এটি আরও ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। এর ফলে মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বাড়বে।
এর আগে ২০১৫-১৬ সালের বাজেটে মুঠোফোনে কথা বলার ওপর প্রথমবারের মতো সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। প্রথম দফায় ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে তা ১৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ইন্টারনেট সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। সম্পূরক শুল্ক ছাড়াও মুঠোফোনে কথা বলা এবং ইন্টারনেট সেবার ওপর ভ্যাট ও সারচার্জ আছে। জানা গেছে, গতকালের বৈঠকে এই দুটি সেবায় সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।
নতুন করে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রবি আজিয়াটার চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার বলেন, ‘উচ্চ করহারে জর্জরিত মোবাইল টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন সেবার সম্পূরক শুল্কহার যদি আবার বাড়ানো হয়, তাহলে তা গ্রাহক ও সার্বিক মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। বিশেষত মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত কয়েক প্রান্তিক ধরেই কমছে। বাড়তি করের বোঝা এই নেতিবাচক প্রবণতাকে আরও বেগবান করবে। তাই আমরা মনে করি, সার্বিকভাবে করহার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্দেশ্য সফল হবে না; কারণ এতে ব্যবহারকারীর ব্যয় কমে যাবে ’।