ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ২৫-৩০ শতাংশে পৌঁছে যাবে : আহসান এইচ মনসুরসাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে খান ব্রাদার্সদুই বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি বিশ্বব্যাংকের শেয়ারবাজারে দর পতনে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ বাংলাদেশের শিল্প খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগে আগ্রহী কাতার : শিল্পমন্ত্রী
No icon

যেভাবে তৈরি হয় বাংলাদেশের মুদ্রানীতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় একটি মুদ্রানীতি কমিটি আছে। সেই কমিটির প্রধান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর। কিছুদিন আগেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাই এই কমিটির সদস্য ছিলেন। অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের কোনো স্থান ছিল না। এ নিয়ে লেখালেখি হলে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের অক্টোবরে কমিটি পুনর্গঠন করে। সাত সদস্যের কমিটিতে তিনজন বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাঁরা হলেন অর্থনীতিবিদ, বিশ্বব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সাদিক আহমেদ এবং পদাধিকার বলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান মাসুদা ইয়াসমিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, ডেপুটি গভর্নর এম হাবিবুর রহমান, প্রধান অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম।

মুদ্রানীতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা এটুকুই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে এর চেয়ে বেশি কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। যদিও তারা গত ১৫ মে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ‘অবাধ তথ্যপ্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিকট সংরক্ষিত সব অর্থনৈতিক তথ্য ও উপাত্ত তার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছে।’ অথচ গুরুত্বপূর্ণ এই মুদ্রানীতি কীভাবে তৈরি হচ্ছে, কমিটি কয়বার বৈঠক করেছে, সেখানে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে, তা জানার কোনো পথ নেই। কমিটির তিন বিশেষজ্ঞ কি বাংলাদেশ ব্যাংকের সব পদক্ষেপে একমত হয়েছিলেন, নাকি ভিন্নমত ছিল, তা–ও জানার কোনো উপায় নেই। অন্য দেশের পরিস্থিতি কিন্তু এ রকম নয়।