কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ আশাতীতভাবে বেড়ে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। আগের বছরের একই মাসের তুলনায় দেশটি থেকে রেমিট্যান্স আসা বেড়েছে প্রায় ১৭৫%।
এছাড়া, গত বছরের একই মাসের তুলনায় দেশে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৪১% বেড়ে ৩৬২ মিলিয়ন ডলার, সৌদি আরব থেকে ৬০% বেড়ে ৩৪৫ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া থেকে ২৭৫% বেড়ে ২৩৭ মিলিয়ন ডলার এবং যুক্তরাজ্য থেকে ৩৯% বেড়ে ২০৬ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ বলেন, ডলারের হার রেমিট্যান্স প্রবণতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে। সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স পরিসংখ্যানের সঙ্গে গত দুই বছরে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকদের উচ্চ সংখ্যার সঙ্গে মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে রেমিট্যান্স কম আসার পেছনের অন্যতম কারণই ছিল ডলারের রেট কম দেওয়া। কারণ, ২০২৩ সালেই খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছিল সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা রেটে।এছাড়া, একটা দেশে সরকারের ভালো পরিবর্তন আসলে তখন রেমিটাররা বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হন উল্লেখ করে মারুফ বলেন এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে সামনের দিনগুলোতে রেমিট্যান্সের ইতিবাচক প্রবাহ রাখা সম্ভব হবে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের বাজার-ভিত্তিক বিনিময় হার গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে বলেন, এমন হলে সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা করে প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও কমে আসতে পারে। এমটিবি সিইও সৈয়দ মাহবুব আরও বলেন, ২.৫% রেমিট্যান্স প্রণোদনা কমানো হলে ডলারের দামের ওপর সরকার আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ পাবে।