বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের অর্থ সরকার অপব্যবহার করেছে বলে দাবি করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, রিজার্ভ একটি সার্বভৌম তহবিল। কিন্তু এটি ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রকল্পে ব্যবহার করা হয়েছে। রিজার্ভের টাকা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলে (ইডিএফ) দেওয়া হয়েছে। ইডিএফে যত অর্থ দেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশ বাইরে পাচার হয়েছে। এ ছাড়া পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত প্রকল্পে রিজার্ভের অর্থ খরচ করা হয়েছে। এসব করা হয়েছে অর্থনীতির মৌলিক নিয়মের বাইরে গিয়ে।
শুধু টাকা ছাপানো বাদে ব্যাংকিং খাতের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে কি না, সেই প্রশ্নও তোলেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক কি স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছে? নাকি একে অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করছে।
জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘যখন ১৫-১৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল, তখনো আমরা আমদানি করে ঠিকভাবে চলেছি। তাহলে এখন কেন পারছি না। এর কারণ আইএমএফের শর্ত। অথচ গত এক দশক ধরে দেশের বিভিন্ন মহল থেকে এসব সংস্কারের জন্য বলা হয়েছে।’
অবশ্য অর্থনৈতিক চাপ থাকলেও পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মনে করেন দেশের উন্নয়নের জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকতা ও সামাজিক স্থিতিশীলতা যদি না থাকে, তাহলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব না। এ কথার সঙ্গে সবাই একমত হবেন। আমরাও সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’
চলমান বিদ্যুৎ সমস্যা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের অবস্থা আগে ভালো ছিল। মাঝখানে খারাপ হয়েছে। এখন আবার স্থিতিশীল হচ্ছে। আর বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, ‘বাজেট এখনো খসড়া পর্যায়ে আছে। এটি নিয়ে যে এত আলোচনা হচ্ছে, সেই গণতান্ত্রিক পরিবেশ আমরা করে দিয়েছি।’