চীন, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া থেকে প্রায় ১৭ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২ হাজার ৮৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মিস্টার ওয়েস্ট জুনিয়রের জন্য ১৩ কোটি ১৬ লাখ ১৯ হাজার ২১৪ টাকা ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য তৈরি খসড়া ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্টাক (পিএসসি) ২০২৩ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মাধ্যমে এ জ্বালানি তেল কিনতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। আর ‘বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্টাক (পিএসসি) ২০২৩ অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (২৬ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভা দুটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক বিভিন্ন দেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান (পিটিটিটি থাইল্যান্ড, ইএনওসি আরব আমিরাত, পেট্রোচিনা চীন, বিএসপি ইন্দোনেশিয়া, পিটিএলসিএল মালয়েশিয়া ও ইউনিপেক চীন) থেকে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
তিনি জানান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) কর্তৃক এলএনজি সংক্রান্ত কার্যক্রমে সহায়তার জন্য লিগ্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত মিস্টার ওয়েস্ট জুনিয়রকে অ্যামেন্ডমেন্ট-১ বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ১৬ লাখ ১৯ হাজার ২১৪ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক দেশের উত্তরোত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্টাক (পিএসসি) ২০২৩ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান সাঈদ মাহবুব খান।