ওভারডিউ পেমেন্টের চাপে গত দুই সপ্তাহে ডলারের দাম ২ টাকা বেড়ে ১২২ টাকা হয়েছে। দেশের আর্থিক ভাবমূর্তি উন্নত করার জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো বিভিন্ন দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া ডলারের অর্থ পরিশোধ করতে শুরু করেছে। তারা ক্রমবর্ধমান ডলার চাহিদা মেটাতে রেমিট্যান্স ডলার সংগ্রহ করতে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। প্রতিযোগিতায় টিকতে বেসরকারি ব্যাংকগুলোও এর সঙ্গে যুক্ত হয়। তবে রেমিট্যান্স সংগ্রহের এ প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে ডলার কেনাবেচায় সর্বোচ্চ ১২০ টাকা রেট অফার করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর মধ্যে অন্যতম বড় মানিগ্রাম ৬ অক্টোবর ১২৪.০৬ টাকায় ডলারের দাম অফার করছিল। অন্যদিকে ট্যাপট্যাপ সেন্ড ১২০.৫০ টাকা অফার করেছিল। এর বাইরেও কিছু ছোট-বড় এক্সচেঞ্জ হাউজ আছে, যেগুলো বেশি রেট দিয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করছে। দুই সপ্তাহ আগেও এসব এক্সচেঞ্জ হাউজ সর্বোচ্চ ১২০-১২১ টাকায় রেমিট্যান্সের ডলার কিনত।
বেশি রেমিট্যান্স নিয়ে আসা এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর মধ্যে অন্যতম ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ২ অক্টোবর রেমিটরদের ১২১.১৮ টাকা দাম অফার করেছিল। প্রতিযোগিতায় টিকতে মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে রেমিট্যান্সের ডলার রেট ১ টাকার বেশি বাড়িয়ে ১২২.২১ টাকা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এমটিবি সিইও সৈয়দ মাহবুব বলেন, ওভারডিউ পেমেন্ট দুই মাস আগের ২ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে এখন প্রায় ৭০০-৮০০ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। তিনি অনুমান করেন, একবার এ দায় নিষ্পত্তি করা হয়ে গেলে ডলারের দাম আরও কমে আসতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বলেন, ৩ অক্টোবর এক বৈঠকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলির ট্রেজারি প্রধানদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রেমিট্যান্স ডলারের রেট ১২২ টাকার বেশি না করার জন্য। একইসঙ্গে পর্যায়ক্রমে সেটিকে ১২০ টাকায় নামিয়ে আনার জন্যও বলা হয়েছে। সব ওভারডিউ পেমেন্ট নিষ্পত্তি হয়ে গেলে ডলারের দামও কমবে বলে আশা করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ কর্মকর্তাও।