ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ইসলামী ব্যাংকঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ড্রাগন সোয়েটারের রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ১০৫৮ কোটি টাকা দেবে এডিবি বিওতে বোনাস পাঠিয়েছে ব্যাংক এশিয়াব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ছয়গুণেরও বেশি
No icon

নারীর আত্মনির্ভরশীলতার গল্পে এক যুগ ধরে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী বিকাশ

‘দৈনন্দিন অনেক লেনদেনের জন্য আগে অন্য কারও ওপর নির্ভর করতে হতো। তবে এখন বিকাশ সবার হাতের মুঠোয় থাকায় যেকোনো ফিন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশন কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নিজেই করতে পারছেন। দৈনন্দিন লেনদেন হয়েছে ঝামেলামুক্ত ও সহজ।’

কথাগুলো বলছিলেন বনানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সুবর্ণা মোস্তফা। তাঁর মতো কর্মজীবী, গৃহিণী, উদ্যোক্তা, এজেন্টসহ কোটি নারীর নির্ভরতা এখন বিকাশে। সব ধরনের লেনদেন নিজের সুবিধামতো সময়ে সুবিধামতো জায়গা থেকে সহজেই করে ফেলার এই সুযোগের কারণেই বিকাশের ৭ কোটি গ্রাহকের ৪০ শতাংশের বেশি নারী। সেবার বহুমাত্রিকতায় এক যুগ ধরে নারীর আত্মনির্ভরশীলতার গল্পে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে বিকাশ। 

ডিজিটাল লেনদেনের আরও এক সফলতার গল্প রয়েছে ঢাকার কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা ফাতেমা আবেদীন নাজলার। পেশাগতভাবে ১২ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন, এর আগে ছিলেন শিক্ষকতায়। তারপরও মনে হচ্ছিল তিনি নিজে কিছু একটা করতে চান, যেটা কেবল নিজের মতো করেই করতে পারবেন। সেই চিন্তা থেকে ২০১৪ সালে শুরু করলেন ‘বেস্ট বাংলাদেশ’ নামের একটি বুটিকস হাউস। তারপর ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর পরে করোনা মহামারির ভয়াবহতায় বন্ধ হয়ে গেল তাঁর এ উদ্যোগ। মনে মনে ভাবছিলেন নতুন কিছু একটা করতে হবে। রান্নাকে সঙ্গী করে হয়ে উঠলেন নতুন উদ্যোক্তা, যাত্রা শুরু হলো ‘এন’স কিচেন’-এর। ২০২০ সালের করোনায় সবকিছু থেমে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সবকিছু বন্ধের সেই সময়টাতে উদ্যোগের চাকা চলমান রাখে ক্যাশলেস লেনদেন। স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে নাজলা বলেন, ‘করোনার সময়কার একটা ঘটনা মনে আছে। ঈদের দিন মিটফোর্ড হাসপাতালে প্রায় ৩০০ জন ডাক্তার-নার্স আটকা পড়েন। তাঁদের খাবারটা আমার কাছ থেকে অর্ডার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্স এসে খাবার নিয়ে যায়। সেই টাকা আমাকে পে করা হয় বিকাশে।’ নাজলার মতো এমন লাখো উদ্যোক্তা নিজের মতো করে ব্যবসা দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে পেমেন্ট অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহার করছেন বিকাশ।

মহাখালীর টিবি গেটের বিকাশ এজেন্ট সুমি আক্তারের গল্পটা একটু অন্য রকম। সুমি বলেন, ‘১০ বছর আগে শুরু করেছি দোকান। ছোট থেকে বড় হয়েছে দোকান। আমার মা-বাবা যেহেতু গ্রামে আছে, তাদের টাকা পাঠাতে হয়। টাকা পাঠাতাম। তারপর মনে হলো, আমার যেমন দূরে মা-বাবাকে টাকা পাঠাতে হয়, নিশ্চয়ই আরও অনেকেরও টাকা পাঠাতে হয়। সে হিসাবে আমার দোকানে বিকাশ এজেন্টের কার্যক্রম শুরু করি।’ 

সুমি আক্তারের মতো সারা দেশেই বিকাশ এজেন্ট হিসেবে আর্থিক সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতেও ভূমিকা রাখছেন নারীরা, পাশাপাশি নিজেরা হয়েছেন স্বাবলম্বী, পরিবারে এনেছেন সচ্ছলতা।

উদ্যোক্তা নাজলা জানান তাঁর ব্যবসা দেশের গণ্ডি ছেড়ে বিদেশেও সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রবাসে বসে অনেকেই দেশে থাকা প্রিয়জনের জন্য বিভিন্ন খাবার অর্ডার করেন, যা রেমিট্যান্স হিসেবে পান বিকাশে। শুধু তা-ই নয়, নাজলার মাসিক আয়ের ৬০ শতাংশ বিকাশের মাধ্যমেই আসে।

বিদেশে থাকা প্রিয়জনের কাছ থেকে সরাসরি নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে রেমিট্যান্স পাওয়া নারীদের জন্য হয়ে উঠেছে সুবিধাজনক। পোশাকশ্রমিকদের অধিকাংশই নারী, বিকাশে বেতন পেয়ে তাঁদের নিজের অর্থ ব্যবহারের সুযোগ বেড়েছে। প্রতি মাসে খুব অল্প হলেও সঞ্চয়ের প্রবণতা বাংলাদেশের নারীদের জন্য নতুন নয়। এখন কোথাও না গিয়ে ঘরে বসেই চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিকাশ দিয়েই মাসিক সঞ্চয়সেবা নিতে পারছেন নারীরা। এই সুবিধার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই বিকাশে মাসিক সঞ্চয়সেবা নিয়েছেন তিন লাখের বেশি নারী। প্রযুক্তি নারীর সক্ষমতায় ও স্বাধীনতায় ভূমিকা রাখছে সমানভাবে।

বিকাশের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস নারীদের জীবনকে কতটা সহজ করেছে, সে বিষয়ে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সায়মা হক বলেন, ‘গত কয়েক বছরে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে মোবাইল আর্থিক সেবার জনপ্রিয়তা বেড়েছে। শুধু শহরাঞ্চলের নারীরাই নন, তৃণমূল পর্যায়ের নারীরাও মোবাইলে আর্থিক সেবাগুলো ব্যবহার করে ছোট-বড় ব্যবসা, বিভিন্ন আর্থিক লেনদেন, বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স গ্রহণ, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা পাওয়া ও অসংখ্য লেনদেন আরও বেশি সহজে তাঁরা করতে পারছেন।’ বিজ্ঞপ্তি 

<iframe frameborder="0" height="1" id="google_ads_iframe_85406138/mCanvas_1x1_1" name="google_ads_iframe_85406138/mCanvas_1x1_1" scrolling="no" title="3rd party ad content" width="1"></iframe>