অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছিল। সে আয়োজনের অংশ হিসেবে বন্দরের নতুন পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়। কোনো প্রকার দরপত্র ছাড়া এটি হস্তান্তর করতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি অথরিটি তৈরি করা হয়। একটি বিদেশি কোম্পানির প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে টার্মিনালটি ছেড়ে দেওয়া হয়। সে সময়ে বন্দর ব্যবহারকারীদের নানা আপত্তি থাকলেও সেগুলো কর্ণপাত করা হয়নি। বন্দরের অন্যতম আরেকটি আধুনিক টার্মিনাল নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালকেও (এনসিটি) বিদেশিদের হাতে একই কায়দায় তুলে দেওয়ার সকল আয়োজন সম্পন্ন হয়েছিল। পিপিপি অথরিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যত দ্রুত সম্ভব টার্মিনালটিকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন করার। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন সরকার আসার পর পিপিপি অথরিটি এনসিটিকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।